নিজস্ব সংবাদদাতা :
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা সুজনের সম্পাদক, ফলদা শরিফুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও গোপালপুর প্রেসক্লাবের সম্পাদক সন্তোষ কুমার দত্ত, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী সরণ দত্ত, ফলদা রামসুন্দর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন সহকারী প্রধান শিক্ষক সুশীল রঞ্জন বসাক, ফলদা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কনক চন্দ্র ঘোষ, ফলদা কেন্দ্রিয় কালীমন্দির পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি নিতাই চন্দ্র বর্মন, ফলদা প্রকৌশল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাধন মজুমদার ও স্থানীয় সংখ্যালঘু নেতা ভজন চন্দ্র ঘোষের নাম উল্লেখ করে গত ২১ জুলাই দিবাগত রাতে ফলদা গ্রামের শ্রী সরণ দত্ত, শ্রী সাধন মজুমদার ও শ্রী সুশীল রঞ্জন বসাকের বাড়ির গেটে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে দেশত্যাগের হুকমি সংবলিত চিঠি আটকিয়ে দেয়া হয়। সবুজ কালিতে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করা হয় ‘তোরা চলে যা। এ দেশ আমাদের। সময় ১৫ দিন। আল্লাহর আদেশ, এদেশ আল্লাহর নাম ছাড়া আর কিছু থাকবে না। চলে যা তোদের দেশে। না হলে তোদের বাবার কাছে পাঠাব। ১৫ দিন সময়। আল্লাহর হুকুম শেষ কথা। তোরা বিধর্মী, তোরা কাফের।’
এ ঘটনায় স্থানীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। বিষয়টি ইতিমধ্যে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, সুজনের কেন্দ্রীয় সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী পুলিশ সুপার গোপালপুর সার্কেল, থানার অফিসার ইনচার্জসহ বিভিন্ন জনকে জানানো হয়েছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়। এ বিষয়ে এখনো কোন জিডি বা মামলা হয়নি। তবে জিডি করার প্রস্তুতি চলছে।
ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফজলুল কবির ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এলাকায় আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থা জোরদারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।